একটি ভাষার বিন্দুবিসর্গ না বুঝে দিনের পর দিন তিলাওয়াত করে যাচ্ছি, ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ অযৌক্তিক ও অস্বস্তিকর মনে হতো। তাই অর্থ-সহ পড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু যতবারই আমি কুরআনের অর্থ পড়তে গিয়েছি, ততবারই একদম শুরুতে আটকে গিয়েছি। সুরা বাকারার পুরোটা জুড়ে মুসা আলাইসিস সালামের কাহিনি! অথচ কোথা থেকে কী শুরু হলো, কীসের পরে কী হলো—এসবের কিছুই বুঝতাম না তখন আমি। তাই কুরআন পড়ার উৎসাহটা বেশিদিন ধরে রাখতে পারিনি।
আসলে কুরআনের বিবরণশৈলী অনেকটা কথোপকথনের ভঙ্গির মতো। কুরআন কোনো ‘ইতিহাসের বই’ নয়। তাই কাহিনিগুলো এখানে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়নি। বিশুদ্ধ কোনো উৎস থেকে সেসব কাহিনির ক্রম জেনে তবেই অনুবাদ পড়তে হবে। না-হয় মাঝপথে খেই হারিয়ে ফেলার প্রবল আশঙ্কা থেকে যায়। যেমনটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছিল।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে কুরআনে বিবৃত বনি ইসরাইলের ঘটনাটি পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হয়েছে। এতে করে সহজেই বোঝা যাবে—একটি উম্মাহ থেকে কীভাবে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলিম—এই তিনটি জাতির উদ্ভব হয়েছে। এ বইটি ‘শিকড়ের সন্ধানে’ নিয়োজিত হওয়ার একটি বিনম্র প্রচেষ্টা। আমরা কেন মুসলিম; ইহুদি বা খ্রিষ্টানদের সাথে আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও জীবনাচারের পার্থক্যটা কোথায়—এসব আবিষ্কারের একটি অভূতপূর্ব যাত্রা আমাদের বইটি। তবে এটা স্রেফ একটি গ্রন্থ নয়, বরং কুরআনীয় ঘটনাগুলোর একটি নির্মোহ বিশ্লেষণ।
Reviews
There are no reviews yet.